"কোটা সংস্কার" আন্দোলনের অপোমৃত্যুর পূর্বাভাষ
লিখেছেন লিখেছেন জিহর ১০ এপ্রিল, ২০১৮, ০১:৩৭:০০ দুপুর
কোটা পদ্ধতীর সংস্কার বিষয়ে কথা বলাটা আজ মনেহয় নিরর্থক এবং অথর্ব হয়ে পড়লো ।
সরকার তথা মাননীয় প্রধান মন্ত্রীর তরফ থেকে আমাদের চিরো চেনা "আস্বাস" নামক এক চিজ মিলেছে। যার ভিত্তিতে আগামি এক মাস সময় নেবে সরকার এবিষয়ে "সুরাহা" (?) করতে ।
তাদের ভাষ্য হলো যে, আমরা দেখছি এ বিষয়ে কি করা যায় !
এখন কেউ যেনো কোটা বিষয়ক এই আন্দোলনকে নিজেদর "স্বার্থে" ব্যবহার করতে না পারে, সেটা সরকার প্রথমে নিশ্চিত করেনিলো ।
সামনের মাসে পবিত্র মাহে রমজান, এরপর ঈদুল ফিতর।
লাগাতার দীর্ঘদিন পর্যন্ত হয়তো ছাত্রদের হয়তো ঢাকার বাইরে থাকতে হবে আগামি মাসে ।
তাতে বিষয়টা পুরোনো হবে বৈকি ।
এর মাঝে কতো নতুন নতুন ইশু চলবে, এবং সবার দৃষ্টি সেদিকে নিবদ্ধ হবে।
আমার মতে মাঠ থেকে সরে গেলে সেটা দখল করা সহজ হবে না।
পত্রিকায় দেখলাম কিছু সরকার দলিয় ছাত্র নেতারা দল ত্যাগ করে আপামর ছাত্র সমাজের কাতারে সামিল হয়েছেন। এটা নিঃসন্দেহে বাহবা পাবার বিষয় ।
কারন সরকার সমর্থিত ছাত্রদলিয় কর্মিরা চাকুরি পাক বা না পাক, ঐ সমস্ত নেতারা কিন্তু অবশ্যই অদৃশ্য এক বিশেষ কোটায় চাকুরি পেয়ে যান।
সেই সোনার হরিণ হাত ছাড়া করাটা চারটি খানি সাহসের কথা নয় ।
কিন্তু এর পরদিনই যখন সরকারের কথিত আস্বাস এবং সাথে সাথে আন্দলোনরতো ছাত্রদের মেনে নেয়া কেমন যেন খাপছাড়া । এ বিষয় গুলো আমার মতো সন্দেহ-বাতিক রোগিদের জন্য চিন্তার বিশেষ খোরাক জোগালো তাতে সন্দেহ নেই ।
কেন যেন মনে হচ্ছে যে, ডাল মে কুছ কালা হ্যায়ে...!
সামনে বেশ কিছু সিটি নির্বাচন আসন্ন ।
যে জন্য সরকার নিজেদের ভাব মুর্তি আর ক্ষুন্ন করতে চাইছে না। এটা সাভাবিক বিষয় ।
কিন্তু নিজেদের দাবি আদায়ের এই সুজোগ হাত ছাড়া করাটা যে চরম দুর্জোগ বয়ে আনবে না, তা সময়ই বলে দেবে ।
পরিশেষে "কোটা সংস্কার" আন্দলোনে সুখের সূর্য উদিত হোক, এবং সঠিক আলো দেখুক ।
এই আশা ব্যক্ত করে ইতি টানছি ।
লিখা:-তালুকদার জহির
মিরপুর-৬,ঢাকা
বিষয়: বিবিধ
৬৫৭ বার পঠিত, ২ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
কথা বা আশ্বাস দিয়ে তা পালন করার দূর্বলতায় শেখ হাসিনা ভোগেন না।
মন্তব্য করতে লগইন করুন